একসময় খাদির শীতের পোশাক বলতে আমরা শুধুমাত্র খাদি শালের কথাই জানতাম। তবে বর্তমান সময়ে শীতকালে ব্যবহার উপযোগী খাদি পোশাকে যেমন এসেছে বৈচিত্র্য তেমনি লেগেছে নান্দনিকতার ছোঁয়া। হাতে বোনা মোটা খাদি কাপড়ের সেকেলে ধারা থেকে বের হয়ে এসে খাদি উদ্যোক্তারা এখন নতুন আঙ্গিকে তৈরি করছেন খাদির তৈরি শাড়ি, কামিজ, পনচো, টপ, কুর্তা, গাউন, লং জ্যাকেট, কামিজ, পাঞ্জাবি, কটি, ক্রেপসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক। এসব বাহারী শীতের পোশাকে নিজেদের নতুন আমেজে সাজিয়ে নিতে সব বয়সী ক্রেতারাই বেশ আগ্রহী। তবে এক্ষেত্রে প্রথম ও প্রধান বাধা হচ্ছে সম্ভাব্য ক্রেতাদের অনেকেই খাদি পোশাকের এই ফিউশনগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন না।
ফলে আমাদের দেশীয় খাদি উদ্দ্যোক্তাদের উচিত অনলাইনে ও অফলাইনে দুভাবেই খাঁদি পণ্যের বিভিন্ন মেলা বা প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা। প্রদর্শনীতে দেশীয় ডিজাইনারদের তৈরি খাদি ফিউশন এবং রঙ ও ডিজাইনের বৈচিত্র্য সাধারণ ক্রেতাদের কাছে তুলে ধরা হবে। এতে করে ক্রেতারা খাদি শীতবস্ত্রের বিভিন্ন ফিউশন সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং শীতবস্ত্র হিসেবে দেশীয় খাদি পোশাক ব্যবহারে আরো বেশি আকৃষ্ট হবেন। এভাবে বিভিন্ন মেলা বা প্রদর্শনী নিয়মিত আয়োজন করা হলে এবং এর পাশাপাশি মিডিয়ায় খাঁদি সম্পর্কে ইতিবাচক প্রচার-প্রচারণা করা গেলে আগামী দিনগুলোতে আরামদায়ক শীতবস্ত্র হিসেবে খাদি শুধুমাত্র দেশীয় ক্রেতাদের কাছেই নয় বরং আন্তর্জাতিক বাজারেও ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।

Spread the love

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *