খাদি জি আই ট্যাগের ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হবে
জি আই পণ্য নিয়ে আমরা সবাই আলোচনা করছি। এর মধ্যে আশা আপু মুক্তাগাছার মন্ডা নিয়ে ডকুমেন্টেশন তৈরি করে ফেলেছেন যা সত্যি প্রশংসার দাবিদার। কারন এর আগে কেউ ব্যক্তিগত পর্যায়ে এটি করেছে বলে মনে হয় না। এছাড়া অন্যান্য আরও পণ্যের ডকুমেন্টেশন তৈরি করার জন্য কার্যক্রম চলছে। এরি সুবাদে খাদির ডকুমেন্টেশন তৈরি করার লক্ষ্য খাদি নিয়ে জানতে কুমিল্লা জেলায় যেখানে খাদি কাপড় তৈরি হয় সেসব জায়গায় গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজও করা হয়েছে। এখন সেখান থেকেই তথ্য – উপাত্ত একত্রিত করে দেখা হবে জি আই ট্যাগ পেতে খাদি প্রস্তুত কিনা।
পণ্যের জি আই কেন দরকার? সাধারণভাবে বলতে গেলে জি আই ট্যাগ দ্বারা একটি পণ্যের ভৌগোলিক নিদর্শনকে বুঝায় অর্থাৎ সেই পণ্যটি নির্দিষ্ট সেই অঞ্চল ছাড়া অন্য কোথাও তৈরি করা সম্ভব নয়। এতে করে সেই পণ্যের আলাদা একটি বিশেষত্ব ফুঁটে উঠে এবং চাহিদা তৈরির মাধ্যমে পণ্যটি রপ্তানি উপযোগী করে তোলাও সম্ভব হয়।
আমাদের দেশ কৃষি নির্ভর হলেও এখনও অনেক কৃষি পণ্য আমাদের আমদানি করতে হয়। তবে সম্প্রতি বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কৃষি পণ্যের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনার জন্য সরকার কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করেছেন এবং এতে করে কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। যেমন ঃ ভুট্টা ও গম বেশিরভাগ আমদানি করতে হতো কিন্তু বৈশ্বিক পরিস্থিতি খারাপের জন্য এখন তা আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না তাই দেশেই ভুট্টা ও গম উৎপাদন শুরু হয়েছে এবং কৃষকরাও এতে খুশি। অর্থাৎ আমাদের দেশের এই পণ্যগুলো উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে এবং চাইলেই এই পণ্যের আমদানি কমিয়ে আনা সম্ভব।
ঠিক একিভাবে যখন জি আই পণ্যের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং এই পণ্যগুলোর মান উন্নয়ন করে রপ্তানিযোগ্য করে তোলা হবে তখন এসব পণ্য থেকে যে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি হবে তা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করবে। ঠিক একিভাবে যদি বাংলাদেশের খাদি জি আই ট্যাগ অর্জন করতে পারে তাহলে খাদি পণ্য রপ্তানি করে রপ্তানি আয়ও বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।
অর্থাৎ বর্তমানে যে বৈদেশিক ডলারের সংকট দেখা দিয়েছে তা নিরসনে ভৌগোলিক নিদর্শন প্রাপ্ত পণ্যের রপ্তানির মাধ্যমে ডলার সংকট দূর করা সম্ভব হবে। কারন এই পণ্যগুলো সেই অঞ্চলেই উৎপাদিত হবে। তাই অন্য কোথাও থেকে সেগুলো সংগ্রহ করা সম্ভব হবে না।