দেশীয় পণ্য দেশের সম্পদ। তাই এই সম্পদের যত যত্ন নেয়া যাবে ততই তা সুফল বয়ে আনবে। কালের বিবর্তননে অনেক দেশীয় সম্পদ হারিয়ে গেছে কিন্তু যেগুলো বর্তমান আছে সেগুলোর যদি সেভাবে যত্ন নেয়া না হয় তাহলে সেগুলোও এক সময় হারিয়ে যাবে। তাই আমাদেরকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার মাধ্যমে এসব পণ্যের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এগিয়ে আসতে হবে। তবে এদিকে সবচেয়ে বেশি ভুমিকা যারা রাখতে পারে তারা হচ্ছে এদেশের তরুণ সমাজ। কারন আগামীর ভবিষ্যৎ যেমন তাদের কাজের উপর নির্ভরশীল তেমনি দেশীয় পণ্যের ভবিষ্যৎও তাদের উপর নির্ভরশীল। এর মূল কারন দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে তরুণদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
দেশীয় পণ্যের সম্ভাবনাকে তরুণদের হাতে ন্যস্ত করার দায়িত্বটা শিক্ষা জীবন থেকেই শুরু হওয়া উচিৎ। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে দেশীয় পণ্যের উপর নিয়মিত গবেষণার মাধ্যমে তাদেরকে দেশীয় পণ্যের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে। এছাড়া চাকরির পেছনে না ছুটে কিভাবে উদ্যোক্তা হিশেবে নিজেকে গড়ে তোলা যায় সেদিকে কাজ করতে হবে নীতিনির্ধারকদের। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত দেশীয় পণ্য নিয়ে মেলা এবং সেমিনার আয়োজন করার মাধ্যমে তরুণদেরকে দেশীয় পণ্যের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে। তাছাড়া যারা এদিকে আগ্রহী তাদেরকে ট্রেনিং দেয়ার মাধ্যমে দক্ষ করে তুলতে হবে।
উপরোক্ত এই পদক্ষেপের মাধ্যমে তরুণদের দেশীয় পণ্যের প্রতি আগ্রহী করে তোলা সম্ভব।