আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের খাদি পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি করার উপায় খুঁজতে হবে
আমাদের দেশীয় পণ্যের অভ্যন্তরীণ বাজার চাহিদা তৈরির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে এসব পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির উপায় খুঁজে বের করতে হবে। কারন একটি পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে শুধু যে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয় তা কিন্তু নয়। সেই সাথে সেসব দেশের সাথে পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়ন হয় এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পথ আরও সম্প্রসারিত হয়। প্রতি বছর আমাদের দেশ থেকে নানা ধরনের পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়ে থাকে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে তৈরি পোশাক। এছাড়া শুকনো খাবার, মাছ, শাকসবজি, হোম ডেকরের পণ্যসহ অন্যান্য আরও নানাবিধ পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে।
এর মধ্যে আমাদের দেশীয় তাঁতে তৈরি পণ্যের কদর অনেক আগে থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয়। যেমন ঃ বাংলাদেশে তৈরি জামদানি। খাদির বিষয়টা একটু আলাদা। কারন দেশ ভাগ হওয়ার পরে ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে খাদি তৈরিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আর এদিক থেকে ভারত সবচেয়ে এগিয়ে। প্রতি বছর খাদি দিয়ে তৈরি শুধু পোশাক রপ্তানি করেই ভারত প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে।
আমাদেরকেও বিদেশি এসব বাজারে বাংলাদেশের খাদি পোশাকের চাহিদা কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় এনিয়ে উপায় খুঁজে বের করতে হবে। এই উপায় খুঁজে বের করার জন্য আমাদেরকে বৈদেশিক বাজারে কি ধরনের খাদি পোশাকের চাহিদা রয়েছে তা জানতে হবে। আর এই বিষয় জানতে হলে অবশ্যই ইংরেজি জানাটা খুব জরুরী কারন আন্তর্জাতিক যেকোন বিষয় ইংরেজিতেই লেখা হয়ে থাকে এবং প্রতিবেদও ইংরেজি ভাষায় করা হয়। অর্থাৎ আমরা আমাদের দেশীয় পণ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইলে আমাদেরকে অবশ্যই আরিফা মডেলের টাস্কগুলো শেষ করতে হবে। তবে আমি আশাবাদী এক সময় আমাদের মতো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে দেশীয় খাদি পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে জায়গা করে নিবে।