শীতবস্ত্র হিসেবে খাদি কাপড়ের ব্যবহার বাড়াতে হবে
তৈরি পোশাকশিল্পের পাশাপাশি বেড়ে চলেছে বৈচিত্র্যময় শীতবস্ত্র তৈরির হার। অনেকে পোশাক শিল্পে শীতবস্ত্র তৈরির চাহিদা বৃদ্ধির জন্য বিদ্যুৎচালিত যন্ত্রের ব্যবহারকে উল্লেখযোগ্য হিসেবে মনে করেন। তবে এটা সম্পূর্ণ সত্যি নয়। বাংলাদেশের মানুষ প্রথাগতভাবেই শীতবস্ত্র হিসেবে চাদরের ব্যবহার করে আসছে অনেক আগে থেকে যখন এসব যন্ত্রের ব্যবহার ছিল না। তাই এখনও হাতে তৈরি কাপড় দিয়ে শীতবস্ত্র তৈরি হয়ে থাকে। উদাহরণ হিসেবে আমরা হোসিয়ারি শিল্পকে তুলে ধরতে পারি। আগে হোসিয়ারি কারখানা থেকে তৈরি হতো মাফলার, মোটা উলের সোয়েটার, হাতমোজা, এবং পা মোজা। তবে এর পরিমাণ বেশি ছিল না।
এখনও বাংলাদেশের মানুষ হাতে তৈরি কাপড়ের কদর করেন কারন এই কাপড় ব্যবহারের সাথে তারা প্রথাগতভাবে জড়িত এবং এসব কাপড় পরিধানে কোন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না যেটা অন্যান্য কাপড়ে হয়। এই যেমন খাদি কাপড়। হাতে বুনা খাদি কাপড় যেমন পরিবেশ বান্ধব তেমনি এর রয়েছে যথার্থ বৈশিষ্ট্য। হাতে তৈরি খাদি কাপড়ের ব্যবহার যদি শীতবস্ত্র তৈরিতে বৃদ্ধি করা যায় তাহলে আমাদের দেশীয় তাঁতে তৈরি কাপড়ের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে কয়েকগুণ। খাদি দিয়ে অনেক ধরনের শীতবস্ত্র তৈরি করা যেতে পারে। যেমন ঃ শাল, মাফলার, স্কার্ফ, সোয়েটার ইত্যাদি আর এখন শীতের পরিমাণ অনেক কমে গেছে তাই অত মোটা কাপড়ের বেশি প্রয়োজন হয় না। শীত নিবারণের জন্য খাদি কাপড়ের মতো কাপড়গুলো পোশাক তৈরিতে অনায়াসে ব্যবহার করা যেতে পারে। যত বেশি হস্তচালিত তাঁতে তৈরি এসব কাপড়ের ব্যবহার বাড়ানো যাবে ততই দেশীয় তাঁত শিল্পের প্রসার বৃদ্ধি পাবে।