আরিফা মডেলের কারনে খাদির ব্যবহার বেড়েছে

আরিফা মডেলের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন জেলায় উৎপাদিত পণ্য, দর্শনীয় স্থান বা পর্যটন কেন্দ্র, জেলার পরিচিতি এবং সেই সাথে বিভিন্ন জেলার অনলাইন উদ্যোক্তাদের পরিচিতি বৃদ্ধি করা। এর ফলে আমাদের দেশীয় পণ্যগুলো সম্পর্কে সাধারণ মানুষ জানতে পারবে এবং সেই সাথে বিভিন্ন জেলায় বসবাসরত উদ্যোক্তাদের সম্পর্কেও জানতে পারবে।
একজন উদ্যোক্তা আরিফা মডেল ফলো করে নিজ নিজ দক্ষতা যেমন বৃদ্ধি করছে তেমনি তার এই দক্ষতা উদ্যোগের নানা কাজে ব্যবহার করতে পারছে। যার ফলে পণ্য নিয়ে কিভাবে মার্কেটিং করতে হয়, কি ধরনের কন্টেন্ট লিখতে হয়, সেল পোস্ট না লিখেও পণ্য বিক্রির কৌশল ইত্যাদি বিষয়গুলো তাদের আওতার মধ্যে চলে আসছে। এর ফলে আমাদের দেশীয় পণ্যের ব্যাপক প্রচার বৃদ্ধি পেয়েছে।
একজন খাদি উদ্যোক্তা হিসেবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় খাদি পণ্যের ব্যবহার বেড়েছে তা আমি উপলব্ধি করতে পারছি। এর মূল কারন হলো পার্সোনাল প্রোফাইলে নিজ পণ্য নিয়ে লেখার ফল। আমি যখন খাদি নিয়ে আমার প্রোফাইলে লেখালেখি করবো তখন অনেকেই যেমন এই পণ্যটি সম্পর্কে জানতে পারবে সেই সাথে আমার প্রতি তাদের আস্থা তৈরি হবে যা বিক্রি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। কারন অনলাইন একজন ক্রেতা পণ্য না দেখে এবং বিক্রেতার সাথে সরাসরি দেখা না করে পণ্য ক্রয় করে থাকেন । এর কারন আপনার প্রোফাইলের জন্য সে আপনাকে ফেইক মনে করছে না।
আরিফা মডেলের কারনে পার্সোনাল প্রোফাইলে যেহেতু পণ্যের বিক্রি বেড়েছে তাই খাদির ব্যবহারও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা এই শিল্পের প্রসারের জন্য খুব প্রয়োজন।