উপহার পেতে কমবেশি আমরা সবাই ভালোবাসি। বিশেষ কোন দিনে বা বাঙালী হিসেবে আমাদের বিভিন্ন আনন্দ উৎসবে প্রিয়জনদের মাঝে উপহার আদান-প্রদানের প্রচলন অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও বহু পুরনো। তার পাশাপাশি শীতের আমেজ মানেই যেন বাঙালির বিয়েসহ আরো অনেক আনন্দ উৎসবের আগমনী বার্তা। আর এই আনন্দ উৎসবের বিশেষ উল্লেখযোগ্য ও আকর্ষণীয় একটি দিক হলো উপহার দেয়া-নেয়া। উপহার আদান-প্রদানের এই রীতিকে খুব ভালোভাবেই কাজে লাগানো যেতে পারে অভ্যন্তরীণ শালের বাজারে দেশীয় খাদি শালের অবস্থানকে আরো সুসংহত করার ক্ষেত্রে। এর জন্য যেটা প্রয়োজন তা হলো বিয়ের বর-কনে থেকে শুরু করে অথিতিদের কাছেও উপহার সামগ্রী হিসেবে ঐতিহ্যবাহী দেশীয় খাদি শালকে জনপ্রিয় করে তোলা।
তবে এক্ষেত্রে প্রচার-প্রচারনাসহ সার্বিকভাবে দেশীয় খাদি শালে নতুনত্ব নিয়ে আসার প্রচেষ্টা চালাতে হবে। সৃজনশীল ফিউশনের মাধ্যমে খাদি শালের ডিজাইনে বাঙালি ঐতিহ্য ও আধুনিকতার এক আকর্ষণীয় মেলবন্ধন ফুটিয়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি ক্রেতাদের সাথে কথা বলে বা জরিপ চালিয়ে তাদের রুচি, পছন্দ ও চাহিদা সম্পর্কে জেনে নিয়ে শালের ডিজাইনে সেগুলোর প্রতিফলনও আনতে হবে। এক্সক্লুসিভ জিজাইনের খাদি শাল তৈরিতে এটাও লক্ষ্য রাখতে হবে ক্রেতারা যেন যেকোন পার্টিওয়্যারের সাথে মিলিয়ে খাদি শাল পরিধানে আকৃষ্ট হন এবং স্বচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তবে এই কাজগুলো করার জন্য পর্যাপ্ত সময় ও শ্রম দুটোরই বিনিয়োগ আবশ্যক। সাম্প্রতিক সময়ে নান্দনিক ডিজাইনের খাদি শাল সব বয়সী ক্রেতাদের মাঝেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানেও খাদি শালের ব্যবহার আগের চেয়ে যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে উপহার হিসেবে দেশীয় খাদি শালের ট্রেন্ড কার্যকরভাবে শুরু করতে হলে আমাদের মতো খাদির উদ্যোক্তাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে এবং এই দিকে ফোকাস করে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে।

Spread the love

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *