বর্তমানে বিশ্বজুড়ে বস্ত্র খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়তে শুরু করেছে ৷ তাই ভবিষ্যতে বস্ত্র খাত তথা পোশাক শিল্পের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে হলে খাদি শিল্পেও অচিরেই উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করতে হবে। খাদি পোশাকের মৌলিক নকশার পরিকল্পনাসহ এই শিল্পসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমনঃ গবেষণা, প্রশিক্ষণ, নেটওয়ার্কিং, মার্কেটিং ও প্রোডাক্ট উপস্থাপন ইত্যাদিতে উন্নতি প্রযুক্তির অধিকতর ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে দারুন সম্ভাবনাময় আমাদের এই খাদি শিল্প আগামীতে আরো দ্রুত এগিয়ে যাবে।
খাদি আমাদের বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বর্তমান সময়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কৃতির সাথে সৃজনশীল প্রযুক্তির যে গভীর ও সুনিপুন সম্পর্ক গড়ে উঠছে সেখানে খাদিকে একটি শিল্প হিসেবে টিকে থাকতে হলে খাদি’র ফ্যাশনে সতন্ত্র একটি ধারা তৈরির বিষয়টিকে গুরত্বের সাথে নিতে হবে। আর এক্ষেত্রে সবার আগে প্রয়োজন খাদি শিল্পে কার্যকরী উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার আরো ত্বরান্বিত করা। এতে করে আমাদের দেশীয় খাদিতে নিজস্ব নকশা রীতির প্রচলন শুরু হবে যার বদৌলতে খাদি একটি স্বতন্ত্র বৈশ্বিক ব্র্যান্ড হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে এবং খাদির বৈশ্বিক বাজার চাহিদাও বাহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে।গত দুই বছরে দেশীয় পণ্য হিসেবে খাদির অনলাইন উদ্দ্যোক্তাদের সক্রিয় প্রচার-প্রচারণায় এই খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার অনেকাংশেই বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বলতে দ্বিধা নেই যে, প্রযুক্তি ব্যবহারে আমরা এখনো অনেকটাই পিছিয়ে আছি। অদূর ভবিষ্যতে বিশ্ব বানিজ্যের বাজার প্রতিযোগিতায় খাদির স্বতন্ত্র একটি অবস্থান তৈরি করতে হলে এই শিল্পকে আরো বেশি উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর হতে হবে। তবে এর জন্য স্বদিচ্ছার পাশাপাশি প্রয়োজন যথেষ্ট বিনিয়োগের। সরকারী-বেসরকারিসহ ব্যাক্তি মালিকানাধীন সংগঠনগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা পেলে খাদি বাংলাদেশের ঐতিহ্যের ধারাকে অক্ষুণ্ণ রেখে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড হিসেবেও বিশ্ব বানিজ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারবে বলে আমি আশাবাদী।

Spread the love

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *