খাদি শাড়ি নিয়ে কাজ করতে হবে

খাদি বলতেই প্রথমে আমাদের মাথায় আসে পাঞ্জাবীর কথা। এর যথেষ্ট কারনও রয়েছে। অনেক আগে থেকেই এদেশের মানুষের মধ্যে খাদি পাঞ্জাবীর প্রতি আলাদা টান ছিল এবং তাদের পছন্দের শীর্ষে ছিল খাদি কাপড় দিয়ে তৈরি পাঞ্জাবী। এই টান এখনও এদেশের তরুণদের মধ্যে বিদ্যমান। তারাও খাদি কাপড়ের তৈরি পাঞ্জাবী পরতে বেশি পছন্দ করেন। অর্থাৎ যুগ যুগ ধরে আসা খাদি পাঞ্জাবীর প্রতি ছেলেদের এই টান থেকেই এখনও পাঞ্জাবীর কদর রয়ে গেছে একি রকম।

ঠিক পাঞ্জাবীর মতোই খাদি শাড়ির প্রতি নারীদের টান তৈরি করতে হবে। আমাদের দেশের নারীদের মধ্যে সুতি শাড়ির প্রতি দুর্বলতা আগে থেকেই আছে। টাঙ্গাইলের তাঁতে তৈরি সুতি শাড়ি দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানিও করা হয়।

অভ্যন্তরীণ চাহিদা এব রপ্তানির এই প্রক্রিয়ায় খাদি শাড়িও যোগ করতে হবে। এর জন্য খাদি শাড়িতে নিয়ে আসতে হবে নানা ধরনের ভেরিয়েশন। খাদি শাড়ির রঙ নিয়ে অনেকেই সন্তুষ্ট। তাই সেটা খুব বেশি চিন্তার কারন না হলেও অন্যান্য দিক নিয়ে কাজ করতে হবে। যেমন ঃ নরমাল খাদি শাড়িতে ভেলু এড করে গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করতে হবে। খাদি শাড়িতে ব্লক, বাটিক, হ্যান্ডপেইন্ট, স্ক্রিনপ্রিন্ট ইত্যাদির মাধ্যমে এসব শাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে হবে। খাদি শাড়ির চাহিদা বৃদ্ধি করা গেলে তা দেশীয় শাড়ির বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।

Spread the love

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *