বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্য হিসেবে কুমিল্লার খাদি কাপড়ের সুনাম প্রায় ১০০ বছর ধরে অক্ষুণ্ণ রয়েছে। মাঝে দীর্ঘদিন নানা প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে যেতে হলেও বর্তমানে খাদি শিল্প আবার তার সোনালী দিন ফিরে পেতে শুরু করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ই-কমার্সে দেশীয় পণ্যের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার সুফল হিসেবে দেশীয় খাদি শিল্প আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
অনলাইনে বিগত দুই বছর ধরে শ্রদ্ধেয় রাজিব আহমেদ স্যারের দিকনির্দেশনায় দেশীয় পণ্যের যে অভূতপূর্ব জোয়ার তৈরি হয়েছে তার প্রভাবে দেশীয় আরো অনেক পণ্যের মতো খাদির জনপ্রিয়তাও উল্লেখযোগ্যহারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই শিল্পের অগ্রযাত্রাও আরো বেশি গতিশীল হয়েছে।

এছাড়া ই-কমার্সে খাদির বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে খাদির তৈরি শাড়ি, শাল, থ্রি-পিস, কুর্তি, পাঞ্জাবীসহ বিভিন্ন পণ্যে ফিউশনের সমারোহ ঘটেছে যার ফলে বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষের কাছে খাদি হয়ে উঠেছে আরো বেশি নান্দনিক। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক পরিবর্তন হলো সাধারণ মানুষের মধ্যে খাদি সম্পর্কে জানার এবং খাদি নিয়ে কাজ করার আগ্রহ বৃদ্ধি।
দেশীয় পণ্যের সার্বিক উন্নয়নে সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ই-কমার্স ক্লাব প্রতিষ্ঠার যে আইডিয়া রাজিব স্যার দিয়েছেন তার শুভ সূচনা হলো আজ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে ই-কমার্স ক্লাব শীর্ষক আলোচনার মাধ্যমে। দেশীয় পণ্যের এগিয়ে চলায় নিঃসন্দেহে এটি একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। ই-কমার্স ক্লাবের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ই-কমার্স সম্পর্কে জানতে ও শিখতে পারবে।
তেমনি আমাদের শিক্ষিত তরুণ সমাজ খাদির মতো দেশীয় পণ্য সম্পর্কে যত বেশি জানবে আমাদের দেশীয় পণ্যের এগিয়ে চলার পথও ততই সুগম হবে। পাশাপাশি ই-কমার্স ক্লাবের কল্যাণে অনেকেই ভবিষ্যতে দেশীয় পন্যের বিভিন্ন উদ্যোগে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করতে আরো বেশি উৎসাহী হবে।
ই-কমার্স ক্লাব আমাদের দেশীয় পণ্যকে নিঃসন্দেহে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আমি আশাবাদী। সেই সাথে ঐতিহ্যবাহী খাদির একজন অনলাইন উদ্যোক্তা হিসেবে আশা করি দেশীয় খাদি শিল্পেও ই-কমার্স ক্লাবের ইতিবাচক প্রভাব বিদ্যমান থাকবে। যাতে করে নতুন প্রজন্ম খাদি সম্পর্কে আরো বেশি আগ্রহী হয়ে উঠবে এবং সার্বিকভাবে খাদির বাজার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।

Spread the love

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *