খাদি উদ্যোক্তাদের সচেতনতা পরিবেশ বান্ধব খাদি শিল্প গড়ে উঠতে সাহায্য করবে
একজন উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ী যাই বলি না কেন সাধারণত তারা একটি পণ্য উৎপাদন করে সেখান থেকে কিভাবে অধিক লাভ করা যায় সেদিকে বেশি নজর দিয়ে থাকেন। যার জন্য তার উদ্যোগের পণ্য তৈরিতে পরিবেশের কোনরূপ বিপর্যয় ঘটছে কিনা সেদিকে অনেক সময় খেয়াল থাকে না। যার জন্য দিন দিন পরিবেশের ভারসাম্য হুমকির মূখে পড়ছে। একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে যদি এভাবে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটতে থাকে তাহলে আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ সমুদ্রে মাছের তুলনায় প্লাস্টিকের পরিমাণ বেশি হবে। কাজেই এখন থেকেই আমরা যদি সচেতন না হই তাহলে আমাদের আগামী প্রজন্ম একটি অসুস্থ পৃথিবীর সম্মুখীন হবে। যা মোটেও আমাদের কাম্য নয়।
তাই একজন দেশি পণ্যের খাদি উদ্যোক্তা হিশেবে আমরা যদি আমাদের পণ্য তৈরিতে পরিবেশ বিপর্যয়ের দিকটা লক্ষ্য রাখি তাহলে আস্তে আস্তে পরিবেশ বান্ধব খাদি শিল্প গড়ে উঠবে। আর আমাদের দেশীয় তাঁতে তৈরি পণ্যের মূল বিষয় একজন তাঁতি তার নিজ হাতে নিখুঁত পণ্য তৈরি করে যা একবারে পরিবেশ বান্ধব। যেটা আমরা জামদানি তৈরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করি।
একজন উদ্যোক্তার শুধু পণ্য বিক্রি করা উদ্দেশ্য নয়। তাকে এটাও চিন্তা করতে হবে তার উদ্যোগের জন্য পরিবেশের কোনরূপ ক্ষতি হচ্ছে কিনা। বর্তমানে যেহেতু গ্রীন বিজনেস নিয়ে অনেক বেশি আলোচনা হচ্ছে। তাই এখন থেকেই আমরা সচেতন হলো এতোদিন যে ভুলগুলো হয়ে আসছে তার পরিমাণ আস্তে আস্তে কমতে থাকবে এবং দেশীয় পণ্যের পরিবেশ বান্ধব শিল্প গড়ে উঠবে।