খাদির প্রচার এবং চাহিদা বৃদ্ধি বস্ত্র আমদানির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করবে
যেভাবে দিন দিন ডলারের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে করে আমাদের আমদানি ব্যয় অনেকটা বেড়ে গেছে। তাই সরকার বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন এবং এর সাথে অন্যান্য যেসব পণ্য আমদানি না করলেও চলবে সেসব পণ্য আমদানিতেও পরিবর্তন এনেছে।
আমাদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে বস্ত্র অন্যতম। অর্থাৎ যা না হলেই নয়। প্রতি বছর বস্ত্রের চাহিদা মেটানোর জন্য বিদেশ থেকে বস্ত্র আমদানি করতে হয়। আর কোন উৎসব হলেতো সেখানে বিদেশি পোশাকের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ এবং তখন এসব পোশাক আমদানি করতে হয় আরও বেশি। অথচ বস্ত্র শিল্পের জন্য আমাদের গর্বের ইতিহাস রয়েছে এবং আমাদের দেশেই আমাদের প্রয়োজনীয় বস্ত্র তৈরি হচ্ছে। আবার বস্ত্র খাতের যেসব দেশে উৎপাদিত হয় তার কাঁচামালও বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। যার ফলে মোটা অংকের আমদানি ব্যয় মেটাতে হয় প্রতি বছর। অথচ দেশীয় বস্ত্র তৈরিতে যদি জোড় দেয়া হয় তাহলে এসব আমদানি ব্যয় কমানো সম্ভব।
তবে এর জন্য প্রয়োজন দেশে উৎপাদিত বস্ত্রের প্রচার। একজন খাদি উদ্যোক্তা হিশেবে প্রতিনিয়ত আমি খাদি নিয়ে কি করা যায় এনিয়ে নিজের আইডিয়াগুলো সফল করার চেষ্টা করে যাচ্ছি যেন খাদি সম্পর্কে সবাই জানতে পারে এবং খাদি ব্যবহারে সবাই আগ্রহী হয়। যদি অন্যরাও নিজ নিজ জায়গা থেকে দেশে তৈরি বস্ত্রের প্রচারে এক হয়ে কাজ করে তাহলে বস্ত্র আমদানির যে ব্যয় আছে যা কমানো সম্ভব কারন প্রচারের ফলেই ক্রেতা দেশে উৎপাদিত পোশাক সম্পর্কে জানতে পারবে।