
গত বছর থেকে খাদি কাপড়ের একজন অনলাইন উদ্দ্যোক্তা হিসেবে আমি কাজ করছি। সেই থেকে এখন পর্যন্ত খাদি শিল্পের সাথে কোন না কোনভাবে জড়িত এমন অনেক ব্যক্তির সাথেই অনলাইন বা অফলাইনে কথা বলার সুযোগ হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পেরেছি যে বর্তমানে দেশীয় খাদির অভ্যন্তরীণ চাহিদা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশব্যাপী খাদির এই বাজার চাহিদা বৃদ্ধির মূল কারন হিসেবে অনলাইনে দেশীয় পণ্য হিসেবে খাদির পরিচিতিকেই বিবেচনা করা হয়।
ঐতিহ্যবাহী খাদির ক্রমবর্ধমান এই চাহিদা পূরণ করতে তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো খাদির অনলাইন উদ্দ্যোগগুলো। কারন অনলাইন উদ্যোক্তারাই পারে দেশব্যাপী খাদির ক্রেতা বা সম্ভাব্য ক্রেতাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করতে এবং সারাদেশে খাদি পণ্যকে ক্রতাদের কাছে পৌঁছে দিতে। পাশাপাশি খাদির অনলাইন উদ্যোক্তার সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে খাদির প্রচার-প্রচারণাও আরো বেশি ত্বরান্বিত হবে এবং সার্বিকভাবে খাদি শিল্প আরো দ্রুত এগিয়ে যাবে।
বিগত কয়েক বছরে রাজিব আহমেদ স্যারের তত্ত্বাবধানে অনলাইনে দেশীয় পণ্যের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসেবে খাদির জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্যহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই জনপ্রিয়তাকে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যেতে হলে, অর্থাৎ দেশে এবং দেশের বাইরে খাদিকে আরো বেশি পরিচিত করে তুলতে হলে প্রয়োজন খাদি সম্পর্কে মিডিয়াতে আরো বেশি ইতিবাচক কন্টেন্ট তৈরি করা এবং খাদিকে শুধুমাত্র ঐতিহ্যবাহী পোশাকই নয় বরং আধুনিক পোশাক হিসেবেও সবার সামনে তুলে ধরা। এক্ষেত্রে প্রচার-প্রচারনার পাশাপাশি আরো প্রয়োজন খাদি’র রঙ, ডিজাইন ও সার্বিক উপস্থাপনায় বৈচিত্র্য নিয়ে আসা, আর সেজন্য দরকার খাদি কাপড় নিয়ে গবেষণার। এই কাজগুলোই খাদির উদ্যোক্তাদের বিশেষ করে অনলাইন উদ্যোক্তাদের এক হয়ে এবং একে-অন্যের প্রতি সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে নিয়মিত করে যেতে হবে।