
কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী খাদি কাপড়ের সুনাম বর্তমানে দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও পৌঁছে গেছে। দেশী-বিদেশী পোশাক ব্রান্ডগুলোও খাদি কাপড়ের পোশাক তৈরিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এখানে বলার অপেক্ষা রাখে না যে,দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে খাদি কাপড়ের চাহিদা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। ঐতিহ্যবাহী দেশীয় পণ্য হিসেবে খাদি কাপড়ের প্রচার প্রচারনাও এই শিল্পের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে অনলাইন উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার ফলে বর্তমানে দেশের প্রায় প্রতিটি জেলার মানুষের মাঝেই খাদি পোশাক নিয়ে আগ্রহ উল্লেখযোগ্যহারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও খাদি কাপড় উৎপাদনে কিছু আঞ্চলিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ফলে দেশব্যাপী খাদির চাহিদা মেটাতে উদ্দ্যোক্তাদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। বিশেষ করে অনলাইন উদ্দ্যোক্তাদের পণ্য পরিবহনসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিকুলতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কুমিল্লার কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় তৈরি হওয়া খাদি পণ্যকে দেশব্যাপী ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেয়া উদ্দ্যোক্তাদের জন্য বিশাল বড় এক চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে ক্রেতাদেরকেও বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য কেনার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তায় মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।
দেশের ৬৪ জেলায় খাদির ব্যবহার নিশ্চিত করতে তাই সম্ভব হলে প্রতিটি জেলাতেই খাদির উদ্দ্যোক্তা তৈরি হওয়া বিশেষ প্রয়োজন। এটি একটি সম্ভাব্য সমাধান হতে পারে বলে আমার মনে হয়। উপরন্তু জেলাভিত্তিক উদ্যোক্তাদের কল্যাণে খাদি পণ্যের অভ্যন্তরীণ বাজার চাহিদাও উত্তরোত্তর আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আমি আশাবাদী। আর বিভিন্ন জেলাতে ক্রেতা সাধারণের মাঝে খাদি নিয়ে আগ্রহ ও ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে আগামীর উদ্যোক্তাদের জন্যে খাদি আরও সম্ভাবনায় একটি ক্ষেত্র হয়ে উঠবে।