দেশীয় পণ্যের প্রচারের ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে
বর্তমানে দেশীয় পণ্য ব্যবহারে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে সবাইকে উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে। কারন আমরা যত বেশি স্বদেশী পণ্য ব্যবহারে অভ্যস্ত হবো ততই আমদানি কমে আসবে যা অর্থনীতির জন্য কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসবে। বিশেষ করে যেসব পণ্য আমাদের দেশে উৎপাদিত হয় সেসব পণ্যের আমদানি ব্যয় কমিয়ে আনতেই দেশি পন্য ব্যবহারে সবাইকে অভ্যস্ত হতে হবে।
গত তিন বছরে অনলাইনে দেশি পণ্যের যে পরিমাণ প্রচার হয়েছে তাতে করে তিন বছর আগের অনলাইন ব্যবসার চিত্র এবং এখনকার অনলাইন ব্যবসার চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। এখন অনলাইনে দেশি পন্য নিয়ে কাজ করে এমন উদ্যোক্তার সংখ্যা অনেক। তারা দেশি পন্য শুধু বিক্রি করার জন্য কাজ করছে না সেই সাথে দেশীয় পণ্য কিভাবে আরও সমৃদ্ধশালী হতে পারে এনিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করছে। এর ফলে দিন দিন অনলাইনে দেশি পণ্যের প্রচার বৃদ্ধির সাথে সাথে ক্রেতার সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে যা দেশি পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
তিন বছর আগে অনলাইনে খাদি নিয়ে তেমন তথ্যবহুল লেখা পাওয়া যেত না। যা ছিল তা গতানুগতিক ধারার কিছু তথ্য। কিন্তু বর্তমানে যারাই খাদি নিয়ে কাজ করছে তারা আরিফা মডেল ফলো করে নিজেদের পণ্য নিয়ে কিভাবে কন্টেন্ট তৈরি করলে তা ক্রেতার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে সেভাবে লিখতে পারছে। এবং তাদের উদ্দেশ্য শুধু বিক্রি নয়। এই শিল্পের এগিয়ে যাওয়ার জন্য কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ সে বিষয়গুলোও তারা তুলে ধরছেন। এর ফলে খাদির যেমন প্রচার হচ্ছে তেমনি খাদি পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে যা উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে। আগামী বছর দেশীয় পণ্যের উদ্যোক্তাদের জন্য দেশি পণ্যের প্রচার আরও কয়েকগুণ বাড়বে বলে আমি আশাবাদী।