সম্প্রতি ভারতে “আর্মি ডে” উপলক্ষে রাজস্থানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাতীয় পতাকা হিসেবে ভারতের জাতীয় পতাকার প্রদর্শন করা হয়েছে। যা তৈরির উপকরণ হলো খাদি কাপড়। আমরা জানি ভারতের জাতীয় পতাকা তৈরিতে শুধুমাত্র খাদি কাপড়ের ব্যবহার করা হয়। ২২৫ ফিট লম্বা এবং ১৫০ ফিট প্রস্থ এই পতাকাটি তৈরিতে ৭০ জন খাদি আর্টিস্টের ৫৯ দিন সময় লেগেছিল। এর ফলে তারা খাদি নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করতে পেরেছে। আমাদের দেশে খাদি নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে তেমন কিছু লক্ষ্য করা যায় না। যদি জাতীয় পর্যায়ে খাদি নিয়ে কাজ শুরু হয় যেমন সরকারি কোন সংস্থার পোশাকের জন্য শুধু খাদি কাপড়ের ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় তাহলেও কিন্তু খাদির প্রচার অনেকটা বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের খাদির অনেক সুনাম রয়েছে কিন্তু আস্তে আস্তে প্রচারের অভাবে খাদির ব্যবহার কমতে শুরু করেছে। তাই একজন খাদি উদ্যোক্তা হিসেবে আমি মনে করি খাদি নিয়ে আমাদের জাতীয় পর্যায়ে কাজ করার উদ্যোগের বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে হবে। যেন খাদির সব সময়ের ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়।
Similar Posts
এক রঙের খাদি শালের উপর ব্লক এবং বাটিক প্রিন্টের কাজ।
এক রঙের খাদি শালের উপর ব্লক এবং বাটিক প্রিন্টের কাজ শীতকালীন পোশাক হিসেবে শাল অন্যতম একটি পণ্য। প্রতি বছর শীতের সময় শালের চাহিদা থাকে চোখে পরার মতোন। গত দুই বছরে অনলাইনে দেশীয় শালের প্রচার বৃদ্ধির কারনে এখন দেশীয় শালের চাহিদাও বেড়েছে। অনেক উদ্যোক্তাই তাদের উদ্যোগের শালগুলোতে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী ভিন্নতা আনার চেষ্টা করছে। এর ফলে…
দেশীয় খাদির ব্যবহার বৃদ্ধিতে দৈনন্দিন জীবনে খাদির ব্যবহার বাড়াতে হবে।
খাদি এমন একটি কাপড় যা দিয়ে সব ধরনের জিনিস তৈরি করা যায়। এই কাপড় দিয়ে যেমন হোম ডেকরের জিনিসপত্র তৈরি করা যায় তেমনি পরিধেয় পোশাকও তৈরি করা যায়। হোম ডেকরের পণ্য হিসেবে প্রতিদিন ব্যবহার্য বিছানার চাদর, পর্দা, কুশন কভার ইত্যাদি জিনিসপত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি করা যেতে পারে। এইসব কিছুই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা ব্যবহার করে থাকি।…
জেলা ভিত্তিক উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে খাদির গ্রামীণ বাজার চাহিদা তৈরি করতে হবে।
খাদির চাহিদা এদেশের মানুষের কাছে অনেক আগে থেকেই। বিশেষ করে গ্রামীণ বাজারে এর চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি। গ্রামে প্রতিটি বাড়িতেই মনে হয় খাদি কাপড়ের একটি চাদর হলেও পাওয়া যেত। এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। কিন্তু যত যাই হোক শহরে এবং গ্রামে চাহিদার তারতম্য অবশ্যই আছে। শহরের একজন ক্রেতার চাহিদা এবং গ্রামের একজন ক্রেতার পোশাকের চাহিদায় পার্থক্য…
কুমিল্লায় খাদি শিল্প কর্মসংস্থান তৈরিতে সহায়তা করছে।
কুমিল্লায় খাদি শিল্প কর্মসংস্থান তৈরিতে সহায়তা করছে খাদি শিল্প কুমিল্লা জেলার ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করে। এই শিল্পের জন্যই দেশের বিভিন্ন জেলায় এই জেলার পরিচিতি রয়েছে। যেমনটা নারায়ণগঞ্জ জেলা বলতে জামদানির নামটাই সর্বত্র উঠে আসে। খাদি শিল্পের আদি ঠিকানা কুমিল্লা জেলার দুটি উপজেলাকে কেন্দ্র করে চান্দিনা ও দেবিদ্বার। বিশেষ করে দেবিদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়ন এই শিল্পের গড়ে…
ইদে খাদি পাঞ্জাবী।
বাংলাদেশের খাদি দিয়ে তৈরি পোশাকের মধ্যে পাঞ্জাবীর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। সব বয়সের ক্রেতার কাছে খাদি পাঞ্জাবীর চাহিদা থাকে সমানভাবে। প্রতি বছর ইদে খাদি পাঞ্জাবীর চাহিদা নিয়ে আমরা অনেক নিউজ দেখতে পাই যেখানে কুমিল্লার খাদি পাঞ্জাবীর প্রতি ক্রেতার আগ্রহ প্রকাশ পায়। আগামী মাস থেকেই ইদের কেনাকাটা শুরু হয়ে যাবে। আর ইদের কেনাকাটায় ছেলেদের পাঞ্জাবী একটি অন্যতম…
খাদির ওয়েস্টার্ন ড্রেস নিয়ে কাজ করতে হবে।
আমাদের পাশের দেশ ভারতের কথা যদি বলে সেখানে খাদির বাণিজ্যিক সম্ভাবনা তৈরি হওয়ার পেছনে একটি কারন হচ্ছে তারা সময়ের সাথে সাথে খাদিতে পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। সেখানকার কালচারের সাথে আমাদের অনেক কিছু অমিল থাকলেও কিছু কিছু মিল রয়েছে। যেমনঃ পোশাকের কথা যদি বলি তাহলে তারাও আমাদের মতো শাড়ি, পাঞ্জাবী, থ্রি – পিস, কুর্তি ইত্যাদি পরে থাকে।…