
খাদির ইতিহাস হাজার বছর আগের। তবে এই উপমহাদেশের দিকে তাকালে আমরা শত বছর আগে খাদির পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার লক্ষ্য করতে পারি। যার কারন ছিল স্বদেশী আন্দোলনে বিদেশি কাপড় বর্জন এবং দেশি মোটা কাপড় ব্যবহারে দেশবাসীকে উৎসাহিত করা। সেই থেকে খাদি শিল্পের যাত্রা শুরু যা আজও থামেনি। কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন উপজেলার অন্তর্গত বিভিন্ন গ্রামে খাদি শিল্প ছড়িয়ে রয়েছে। আর বাংলাদেশের খাদির সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয় এই জেলাতেই। কিন্তু দেশের আরও বিভিন্ন জেলায় যেখানে তাঁত শিল্প রয়েছে সেখানেও খাদি তৈরি হচ্ছে যার কোন প্রচারণা নেই। এই যেমন কিছুদিন আগে যখন তাঁত শিল্পের তথ্য সংগ্রহে মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলায় গেলাম সেখানে গিয়ে দেখলাম তারা দেশের বড় বড় ব্রান্ডের কোম্পানিগুলোর জন্য খাদি উৎপাদন করছে। অথচ মানিকগঞ্জের খাদি নিয়ে তেমন কোন তথ্যই আগে জানা ছিল না। এরকম আমাদের দেশের যেসব জেলায় তাঁত শিল্প রয়েছে যেমন ঃ নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, সিলট ইত্যাদি সেসব যায়গায় অনুসন্ধান করলে হয়তো আমরা খাদি নিয়ে আরও জানতে পারবো বা সেখানেও হয়তো খাদি বুনন কাজ চলছে। এই তথ্য সংগ্রহের কাজ করতে পারে আরিফা মডেল। যার মূল উদ্দেশ্য দেশের বিভিন্ন জেলায় উৎপাদিত দেশীয় পণ্যের তথ্য প্রচার করা। এখন আমাদের মধ্যে অনেকেই এই মডেল ফলো করে বিভিন্ন জেলার পণ্য নিয়ে তথ্য তুলে ধরছে। তারা চাইলে তাদের জেলার তাঁত শিল্পের তথ্য সংগ্রহ করে সেখানে যদি খাদি তৈরি হয় সে নিয়ে প্রচারণা চালালে আমরা খাদি নিয়ে নতুন নতুন তথ্য পাব। তাই আমি মনে করি আরিফা মডেল হচ্ছে আমাদের দেশীয় শিল্পের তথ্য সংগ্রহের অন্যতম মাধ্যম।