বসন্ত বরণে দেশীয় খাদি পোশাক
আর কিছুদিন পরেই ঋতুরাজ বসন্তের আগমন হবে। এ সময় প্রকৃতি সেজে উঠবে নতুন সাজে। শীতের মলিনতা ছাড়িয়ে প্রকৃতি সাজবে আপন রূপে। গাছে গাছে নতুন পাতা বলে দেবে বসন্তের আগমন শুরু হয়েছে।
বসন্ত বরণে প্রতিবছর সাংস্কৃতিক জোটগুলো নানা আয়োজন করে থাকে। আর এই আয়োজনের মাঝে সবচেয়ে বেশি শোভা পায় বাসন্তী রঙের পোশাক। যদিও বর্তমানে এর অনেক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এখন শুধু বাসন্তী রঙের পোশাক নয়, সব ধরনের পোশাকেই বসন্তকে বরণ করে নেয়ার জন্য সবাই প্রস্তুত থাকে।
দেশি পণ্যের একজন খাদি উদ্যোক্তা হিসেবে আমি চাইবো এ বছর বসন্ত বরণ হোক দেশীয় পোশাকে। দেশীয় পোশাকের মধ্যে খাদি অন্যতম। যেহেতু বসন্তের শুরুতে হিম হিম হাওয়া অনুভূত হয় তাই খাদি কাপড়ের তৈরি পোশাক হালকা শীত নিবারণের জন্যও উপযুক্ত হবে।
খাদি কাপড়ের তৈরি শাড়ি, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, থ্রি – পিস, কুর্তি, ছোটদের পোশাকে এখন নতুন নতুন ডিজাইন, রঙ, ফিউশন এবং ভেরিয়েশন আনার মাধ্যমে তা সাধারণ ক্রেতাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। তাই যেকোন আয়োজনে এখন খাদি পোশাক মানিয়ে যায়।
বর্তমানে আমরা সবাই দেশীয় পণ্যের জি আই ট্যাগের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করছি। তাই বাঙালির এসব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশীয় পোশাক নিয়ে আলোচনা হওয়া জরুরী। যেমন ঃ কুমিল্লা জেলায় যদি বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়ে থাকে তাহলে সেখানে খাদি দিয়ে তৈরি পোশাকের ব্যবহার করা গেলে তা সহজেই সবার নজর কাড়বে। এভাবে দেশের প্রতিটি জেলার যে ঐতিহ্যবাহী পোশাক রয়েছে সেগুলোর ব্যবহারের মাধ্যমে বসন্ত উৎসবে এসব দেশীয় পোশাকের প্রচারণা সহজে বাড়াতে যেতে পারে। দেশীয় উৎসবে দেশীয় পণ্য হোক আলোচিত এটাই সবার কাম্য।
