অনলাইন উদ্যোক্তাদের খাদি নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করতে হবে

২০১৯ সালে যখন থেকে রাজিব আহমেদ স্যার দেশি পণ্যের প্রচারে দিন-রাত চেষ্টা করে যেতে থাকলেন তখন থেকেই দেশি পণ্যের প্রচার বাড়ার সাথে সাথে দেশি পন্য নিয়ে অনলাইনে কজা করে এমন উদ্যোক্তার সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকলো। দেশি পণ্যের অনলাইন উদ্যোক্তা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে ২০২০ সালে যখন মহামারি শুরু হলো তখন থেকে। তখন অনেকেই চাকরি হারিয়েছে। সে সময় বাড়ির বাহিরে যাওয়া ছিল অসম্ভব কারন সারাদেশে তখন লকডাউন চলছিল। এমন একটা সময় সবাই চেয়েছিলেন ঘরে বসে করা যায় এমন কোন কাজ করার জন্য। ঠিক তখনি রাজিব আহমেদ স্যার সাধারণ এসব মানুষের কথা চিন্তা করে তাদেরকে দেশি পন্য নিয়ে কাজ করতে উৎসাহ প্রদান করেন এবং অনেকেই তাতে সাড়া দেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এ সময় বাড়ির অন্যান্য সদস্যরাও সাহায্য করেন উদ্যোগ চালিয়ে যেতে। যা ছিল অনলাইন উদ্যোক্তাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেই সময়টাতে খাদির অনলাইন উদ্যোক্তাও গড়ে উঠে।

স্যারের গাইডলাইনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সেল পোস্ট না দিয়ে পণ্য নিয়ে গল্প তৈরি করা, পণ্য সম্পর্কে জানানো এবং ক্রেতাদের নিয়ে লেখালেখি করার মাধ্যমে সাধারণ ক্রেতার কাছে দেশি পন্যকে তুলে ধরা। এনিয়ে প্রথম দিকে অনেকেই অনেক কথা বলেছেন কিন্তু পরবর্তীতে এর ভালো দিকটা সবাই বুঝতে পেরেছিলেন। একজন উদ্যোক্তা যেন লেখালেখিতে দক্ষ হয়ে উঠতে পারে অর্থাৎ সে তার পণ্য নিয়ে তথ্যবহুল কন্টেন্ট লিখতে পারে এর জন্য স্যার সব সময় স্কিল ডেভেলপমেন্টের কথা বলে আসছেন এবং স্যারের তৈরি ‘ডিজিটাল স্কিলস ফর বাংলাদেশ’ গ্রুপটি আমাদের সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন যেন সেখানে সময় দিয়ে আমরা শিখতে পারি।

আমরা যারা অনলাইনে খাদি নিয়ে কাজ করছি এবং যারা লেখালেখি করতে পারি আমাদের উচিৎ প্রতিনিয়ত খাদি নিয়ে লেখালেখি করা এবং ভিন্ন ভিন্ন কন্টেন্ট সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরা যেন খাদি নিয়ে জানার সুযোগ তৈরি হয়।