
গত শতাব্দী থেকে বাংলার মানুষের জীবন ও জীবিকার সাথে জড়িয়ে আছে দেশীয় খাদি শালের ব্যবহার। ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লার খাদি শালের জনপ্রিয়তা ইতিমধ্যেই দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও পৌঁছে গেছে। তবুও মসৃণ ও আরামদায়ক দেশীয় খাদি শালের ব্যবহারকে আরো বেশি জনপ্রিয় করে তোলা সম্ভব। এক্ষেত্রে মিডিয়ায় প্রচার-প্রচারণার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আগে যদিও মিডিয়াতে এ নিয়ে তেমন কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি, কিন্তু বর্তমানে ই-কমার্সের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তায় এই চিত্র পাল্টাতে শুরু করেছে।
অনলাইন বিজনেসের কল্যাণে দেশীয় খাদি শালের জনপ্রিয়তা আগের চেয়ে অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে দেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশী বসবাসরত প্রবাসীদের মধ্যেও। এটি সম্ভব হয়েছে কারন দেশীয় শালের প্রচার ও প্রচারণায় মিডিয়া একটি উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে উন্নতির আরো সুযোগ রয়েছে। দেশীয় শালের বাজারে খাদি শালকে আরো বেশি পরিচিত করতে হলে উদ্দ্যোক্তাদের প্রয়োজন মিডিয়া কাভারেজের দিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া। কারন খাদি শালের প্রচার বাড়লেই প্রসার ঘটবে।
খাদি শাল নিয়ে মিডিয়াতে যত বেশি কন্টেন্ট তৈরি হবে, আলোচনা হবে, তত বেশি মানুষ জানতে পারবে এবং খাদি শালের প্রতি আকৃষ্ট হবে। কারন আজকের এই ডিজিটাল যুগে মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই যে কোন বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত ও পরিসংখ্যান যেমন সংগ্রহ করতে পারি তেমনি সাধারণ মানুষের কাছে পৌছেও দিতে পারি।
তাই আমরা যারা দেশীয় খাদি শালের উদ্দ্যোক্তা রয়েছি তাদের উচিত বিভিন্ন মিডিয়াতে খাদি শালের ইতিহাস, পরিচিতি, রঙ ও ডিজাইন, এবং এর ব্যবহারসহ নানাবিধ দিক নিয়ে তথ্যভিত্তিক ও আলোচনামূলক কন্টেন্ট তৈরিতে আরো বেশি মনোনিবেশ করা। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াকেও এক্ষেত্রে যথার্থভাবে কাজে লাগানো উচিত, কারন নতুন প্রজন্মকে খাদি শাল ব্যবহারে আগ্রহী করে তুলতে হলে ডিজাইনে বৈচিত্র্য আনার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভালোভাবে উপস্থাপন করার দিকেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।